ইসরায়েল-গাজা সংঘাত খতিয়ে দেখতে ইসরায়েলে যাচ্ছেন জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক। এর আগে বৃহস্পতিবার জর্ডানে পৌঁছেছেন তিনি। সেখানে বৈঠকের পাশাপাশি সাংবাদিক সম্মেলনে কথাও বলেছেন তিনি।
বেয়ারবক জানিয়েছেন, ইসরায়েলের পাশে আছে জার্মানি। তারা মনে করে ইসরায়েলের আত্মরক্ষার সম্পূর্ণ অধিকার আছে। গত ৭ অক্টোবর যে ঘটনার পর ইসরায়েল গাজার সঙ্গে সংঘাতে নেমেছে, তা সম্পূর্ণ সমর্থন করে জার্মানি। কিন্তু পাশাপাশি, গাজায় যে বেসামরিক মানুষ অসহায় অবস্থার মধ্যে পড়েছেন, তাদেরও পাশে আছে জার্মানি।
এবং সে কারণেই গাজার বেসামরিক মানুষের কাছে মানবিক সাহায্য পাঠাতে চায় জার্মানি। পরে পাঁচ কোটি ইউরো বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫৮০ কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়। অতি দ্রুত তা যাতে গাজার সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে যায়, তা দেখা হবে।
বেয়ারবক জানিয়েছেন, গাজায় একটি চিকিৎসক দলও তারা পাঠানোর চেষ্টা করছে। সবটাই নির্ভর করবে, সীমান্ত খোলার ওপর। মানবিক সাহায্য পাঠানোর জন্য রাফাহ সীমান্ত খুলে দেবে ইসরায়েল।
এদিকে জর্ডান থেকে শুক্রবার ইসরায়েলে গিয়ে সেখানকার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন বেয়ারবক। এদিন বিকেলেই তিনি লেবানন চলে যাবেন। সেখানে গিয়েও এই সংঘাত নিয়ে আলোচনা করার কথা রয়েছে তার।
উল্লেখ্য, হামাসের সমর্থনে লেবানন সীমান্তে ইসরায়েলের ওপর আক্রমণ চালাচ্ছে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। সে বিষয়ে লেবাননের সরকারের সঙ্গে আলোচনা করার কথা বেয়ারবকের।
বেয়ারবক অবশ্য এদিনও একটি কথা স্পষ্ট করে দিয়েছেন, ইসরায়েল যেভাবে গাজায় আক্রমণ চালাচ্ছে, জার্মানি তা সমর্থন করে। কারণ, জার্মানি মনে করে ইসরায়েলের আত্মরক্ষার সম্পূর্ণ অধিকার আছে। শুধু তাই নয়, জার্মানি কোনোভাবেই হামাসকে সমর্থন করে না, এ বিষয়টিও এদিন আরও একবার স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি।
বস্তুত এর আগে গত ১৩ অক্টোবর ইসরায়েল গিয়েছিলেন তিনি। তখনও তিনি এই একই কথা বলেছিলেন।
এদিকে ইসরায়েলের সঙ্গে লাগাতার আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে জাতিসংঘ। রাফাহ সীমান্ত দিয়ে তারাও গাজায় মানবিক সাহায্য পাঠাতে চাইছে। চিকিৎসার সরঞ্জাম, খাবার পাঠানোর কথা জানিয়েছেন গাজায় অবস্থিত বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের কর্মীরা।
তাদের বক্তব্য, আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা করার সামগ্রীও তাদের কাছে নেই। গত দুই সপ্তাহ ধরে ইসরায়েল গাজা সীমান্ত অবরুদ্ধ করে রেখেছে। অন্তত রাফাহ সীমান্তটি খোলার জন্য জাতিসংঘ ইসরায়েলের সঙ্গে আলোচনা জারি রেখেছে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, দ্রুত ইসরায়েল তা খুলে দেবে।