ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ত্রিপুরায় ৬ বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করা হয়েছে। তাদের বাড়ি বাংলাদেশের চট্টগ্রামে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের কাছে অবস্থিত সাব্রুমের ছোট একটি চা বাগান এলাকা বুধবার (৩০ আগস্ট) তাদের আটক করা হয়।
বুধবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নর্থইস্ট টুডে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে অবস্থিত ওই চা বাগান এলাকার আশপাশে একাধিক বাংলাদেশি নাগরিকের উপস্থিতি সম্পর্কিত গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সাব্রুম থানার উপ-পরিদর্শক ধ্রুব মজুমদার পুলিশ সদস্যদের নিয়ে সেখানে অভিযান শুরু করেন।
অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে গভীর চা বাগানে পালিয়ে গেলেও পরে সেখানে ধাওয়া করে ওই বাংলাদেশিদের আটক করা হয়।
নর্থইস্ট টুডে বলছে, ছয় বাংলাদেশি যুবককে আটকের পর তাদেরকে চট্টগ্রামের বাসিন্দা বলে শনাক্ত করা হয়েছে। পরে আরও তদন্তের জন্য তাদের সাব্রুম থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
এর আগে গত জুলাই মাসের তৃতীয় সপ্তাহে ত্রিপুরার একটি বাস টার্মিনাল থেকে ৯ বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করে ভারতীয় পুলিশ। তাদের মধ্যে তিনজন পুরুষ, তিনজন নারী এবং তিনজন শিশু। আটককৃতরা প্রথমে গুয়াহাটি এবং পরে সেখান থেকে গুজরাটের আহমেদাবাদে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন।
তারও আগে গত জুন মাসে ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলার রেলওয়ে স্টেশন থেকে ১০ বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করে পুলিশ। আটককৃতদের মধ্যে সাতজন পুরুষ ও তিনজন নারী এবং সবাই হামসফর এক্সপ্রেস ট্রেনে ছিলেন।
এছাড়া একই মাসে আগরতলার বিমানবন্দর থেকে দুই বাংলাদেশি নারীকে আটক করা হয়। বিমানবন্দরে সন্দেহজনকভাবে চলাফেরা করার সময় পুলিশ তাদের আটক করে বলে সেসময় দাবি করেছিল সংবাদমাধ্যম।
উল্লেখ্য, ত্রিপুরা রাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের ৮৫৭ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। এর মধ্যে সীমান্তের ৫০ কিলোমিটার এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া নেই।