দক্ষিণ আফ্রিকা ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের সাথে যুদ্ধে বেসামরিক হতাহতের সংখ্যা বৃদ্ধির মাঝে ইসরায়েল থেকে কূটনীতিককে প্রত্যাহার করে নিয়েছে । ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক মূল্যায়নের অংশ হিসেবে কূটনীতিককে প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে সোমবার দক্ষিণ আফ্রিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী নালেদি প্যান্ডর জানিয়েছেন।
দীর্ঘদিন ধরে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি এবং ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে কাজ করছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ফিলিস্তিনিদের অবর্ণনীয় নিপীড়নের ঘটনাকে ১৯৯৪ সালে অবসান ঘটা বর্ণবাদী শাসনের সময়কার দুর্দশার তুলনা করেছে দেশটি।
কূটনীতিকদের ফিরিয়ে নেওয়ার ঘটনাকে ‘স্বাভাবিক’ বলে অভিহিত করেছেন নালেদি প্যান্ডর। যদিও ইসরায়েলে দক্ষিণ আফ্রিকার কোনও রাষ্ট্রদূত নিযুক্ত নেই।
ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে শিশু ও নিরীহ বেসামরিকদের অব্যাহত হত্যাকাণ্ডে দক্ষিণ আফ্রিকা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন বলে জানিয়েছেন তিনি। নালেদি বলেছেন, আমরা বিশ্বাস করি, ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়ার ধরন সামষ্টিক শাস্তিতে পরিণত হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকা ফিলিস্তিনে যুদ্ধবিরতির আহ্বান অব্যাহত রাখবে।
গত মাসে কায়রোতে অনুষ্ঠিত শান্তি সম্মেলনে অংশ নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা সংঘাতে লিপ্ত উভয়পক্ষকে অস্ত্র সরবরাহ না করতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন। একই সময়ে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গাজায় বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য সৈন্য মোতায়েনে জাতিসংঘের প্রতি অনুরোধ জানায়।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর শুরু হওয়া এই যুদ্ধে ইসরায়েলের প্রধান লক্ষ্য উপত্যকা থেকে হামাসকে নির্মুল করা বলে ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। চার সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলমান এই যুদ্ধে ইসরায়েলি হামলায় গাজা উপত্যকা ও পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯ হাজার ৯২২ জনে পৌঁছেছে। আর হামাসের হামলায় ইসরায়েলে অন্তত ১ হাজার ৪০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।