বিধানসভা নির্বাচনে জিতে দ্বিতীয়বারের মতো ত্রিপুরা রাজ্য সরকারে ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি। বুধবার রাজ্যের নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন ত্রিপুরা রাজ্য বিজেপির বর্তমান শীর্ষ নেতা মানিক সাহা।
রাজধানী আগরতলার স্বামী বিবেকানন্দ ময়দানে হয়েছে এই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান। মুখ্যমন্ত্রীর পাশপাশি রাজ্য মন্ত্রীসভার সদস্য হিসেবে শপথগ্রহণ করছেন বিধানসভার আরও ৭ জন সদস্য।
এরা হলেন রতন লাল নাথ, প্রাণাজিৎ সিংহ রায়, স্বান্তনা চাকমা, সুশান্ত চৌধুরি, টিঙ্কু রায়, ত্রিপুরা রাজ্য বিজেপির আদিবাসি শাখার প্রধান বিকাশ দেববর্মা এবং সুধাংশু দাশ।
এই সদস্যদের মধ্যে শেষ ৩ জন— টিঙ্কু রায়, বিকাশ দেববর্মা ও সুধাংশু দাশ বিগত রাজ্য সরকারে সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিজেপির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি জে পি নাড্ডা, আসামের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বশর্মা, অরুণাচলের মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডুসহ বিজেপির কেন্দ্রীয় কমিটির কয়েকজন শীর্ষ নেতা উপস্থিত ছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ ময়দানের এই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে।
তবে বিজেপির প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিএম ও কংগ্রেসের কোনো বিধায়ককে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে দেখা যায়নি। একসময়ের প্রতিদ্বন্দ্বী এই দুই রাজনৈতিক দল সর্বশেষ নির্বাচনে জোটবদ্ধভাবে লড়াই করেছে।
এক বিবৃতিতে সিপিএম-কংগ্রেস জোটের নেতারা জানিয়েছেন, বুধবারের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান বয়কট করেছেন তারা।
আসন এবং ভোট শতাংশ কমলেও ৩২টি আসন পেয়ে আরও এক বারের জন্য ত্রিপুরায় ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি। ২০১৮ সালে দীর্ঘ বামশাসনের অবসান ঘটিয়ে আগরতলা দখল করার পর বিপ্লব দেবকে মুখ্যমন্ত্রী করেছিল বিজেপি। তবে নানা বিতর্কের মুখে ভোটের কয়েক মাস আগে বিপ্লবকে সরিয়ে মানিককে মুখ্যমন্ত্রী করা হয়।
গত ১৬ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর ত্রিপুরা বিজেপির একটি সূত্র জানিয়েছিল, এ বার রাজ্যের ধনপুর কেন্দ্র থেকে জয়ী প্রতিমা ভৌমিককে মুখ্যমন্ত্রী করা হতে পারে। তবে সোমবার রাজ্যপালের কাছে সরকার গ়ড়ার আবেদন জানানোর পরই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল, আরও একবার মানিকের উপরেই আস্থা রাখতে চলেছে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব।
এদিকে ভারতের পার্লামেন্ট লোকসভার সাংসদ প্রতিমা ভৌমিক বিধায়কের পদ থেকে ইস্তফা দিতে পারেন বলেও রাজ্য বিজেপি সূত্রে জানা যাচ্ছে। সে ক্ষেত্রে ধনপুর কেন্দ্রে উপনির্বাচন হবে।