ভোটার তালিকা হালনাগাদ ও নির্বাচনী আসন বিন্যাসের কাজ শেষ হলে আগামী ২০২৪ সালের জানুয়ারি শেষ হওয়ার আগেই জাতীয় নির্বাচন করার পরিকল্পনা রয়েছে দেশটির নির্বাচন কমিশনের। যদি কোনো কারণে জানুয়ারির মধ্যে এ কাজ শেষ না হয়, সেক্ষেত্রে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি হবে নির্বাচন।
বুধবার পাকিস্তানের রাজনৈতিক দল আওয়ামী ন্যাশনাল পার্টির (এএনপি) প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেছেন দেশটির প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিকান্দার সুলতান রাজা। সেই বৈঠকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন তিনি।
এএনপির প্রতিনিধিদলকে আশ্বস্ত করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, ভোটারতালিকা হালনাগাদ ও নির্বাচনী আসন বিন্যাসের কাজে কোনোভাবেই দীর্ঘসূত্রিতাকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না; চেষ্টা করা হবে সর্বোচ্চ সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে এই কাজ শেষ করে নির্বাচনের তফিসিল ঘোষণা করার।
তিনি আরও জানান, আগামী ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনী আসনবিন্যাসের কাজ শেষ করার লক্ষ্য নিয়েছে সরকার।
পাকিস্তানের সংবিধানে নির্বাচিত সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের পরামর্শ মেনে প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি গত ৯ আগস্ট পার্লামেন্ট ভেঙে দেন, তারপর ১২ আগস্ট ক্ষমতা গ্রহণ করেন তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন কাক্কারের নেতৃত্বাধীন সরকার।
সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা অনুসারে আগামী নভেম্বর শেষ হওয়ার আগেই নির্বাচন হওয়ার কথা পাকিস্তানে। কিন্তু পাকিস্তানের সাবেক আইনমন্ত্রী আজম নাজির তারার গত ৬ আগস্ট এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, নির্বাচন কমিশনের কাছে হালনাগাদ ভোটার তালিকা না থাকায় এবার নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন হওয়া সম্ভব নয়।
প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেওয়া এএনপির প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন দলটির মহাসচিব মিয়া ইফতেখার হুসেন। বৈঠক শেষে কমিশন কার্যালয়ে অপেক্ষমান সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমরা প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে অনুরোধ জানিয়েছি যে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজে যেন দীর্ঘসূত্রিতা না আসে এবং নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার আগে যেন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করা হয়।’