ডেস্ক রিপোর্ট:
এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার বাকি আর মাত্র ৩ দিন। এরই মধ্যে পরীক্ষা পেছানোসহ চার দফা দাবি নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীর কেউ কেউ বলছেন আন্দোলনটা যৌক্তিক, আবার কেউ বলছেন দাবি যৌক্তিক হলেও এখন আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া অযৌক্তিক।
আজ(১৩ আগস্ট) মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের সামনে জড়ো হয়ে ৫০ মার্কসের পরীক্ষা নেওয়ার দাবিতে শিক্ষা বোর্ড ঘেরাও করার কথা থাকলেও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম থাকায় তারা কার্যক্রম স্থগিত করে।
এ সময় আন্দোলনে অংশ নেওয়া মোহাম্মদপুর সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. লিটন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাদের দাবিগুলা যৌক্তিক কিন্তু এই মুহূর্তে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার উপযুক্ত সময় নয়। কিছু শিক্ষার্থী অতি উৎসাহী হয়ে পড়ালেখা বাদ দিয়ে এই আন্দোলনে উসকানি দিচ্ছেন। তাদেরকে বলব তারা যেন পড়া লেখায় মন দেয়। কারণ আর মাত্র তিনদিন পরই পরীক্ষা তাই এখন আর অন্যকিছু ভাবার সময় নেই।
তিনি আরও বলেন, বন্যা পরিস্থিতির কারণে শিক্ষামন্ত্রী তিন বোর্ডের (এইচএসসি) পরীক্ষা ১০ দিন পিছিয়েছেন। এটা খুবই ভালো একটা সিদ্ধান্ত। সেই সঙ্গে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত শিক্ষার্থীদেরও যেন সুবিধার আওতায় আনা হয় সেই অনুরোধ জানাই।
মাহমুদ হাসান নামে সরকারি কবি নজরুল কলেজের এক শিক্ষার্থী বলেন, যৌক্তিক দাবি নিয়েই আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। এরই মধ্যে কদিন আগেই আন্দোলন থেকে পুলিশ আমাদের কিছু সহপাঠীদের আটক করে, পরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। ওই ঘটনার পর থেকে আন্দোলনকারী কিছু শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।
পরীক্ষার তিন দিন আগে তাদের এই আন্দোলন কতোটুকু যৌক্তিক ও এতদিন পরে কেন আন্দোলন করছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, মূলত আমাদের টেস্ট পরীক্ষার মধ্যেই পরীক্ষার রুটিন দিয়েছিল তাই সে সময় কেউ রাজপথে নামেনি। এর পর আবার ফরম ফিলাপের ডেট ছিল গত জুলাইয়ের ২৭ তারিখ পর্যন্ত, তাই আমরা আন্দোলনে নামতে পারিনি। এজন্যই মূলত দেরি হয়েছে।
জানা গেছে, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা আজ বিকেলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে (মাউশি) ৫০ মার্কসে পরীক্ষা নেওয়ার পক্ষে এমন প্রায় ৫০ হাজার শিক্ষার্থীদের সই করা একটি স্মারক জমা দেবেন। তারপর তারা চূড়ান্তভাবে তাদের সিদ্ধান্ত জানাবেন।
এর আগে এইচএসসি পরীক্ষা পেছানো ও ৫০ নম্বরে পরীক্ষা নেওয়ার দাবিতে কয়েকদিন ধরেই আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায়ে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন। কিন্তু তাতে কোনো ফল না পাওয়ায় এবার তারা ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের সামনে অবস্থান নেন।