স্পোর্টস ডেস্ক:
নেপালের কাঠমাণ্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে রোববার প্রথম সেমি-ফাইনালে ভুটানের বিপক্ষে ৫-১ গোলে এগিয়ে বিরতিতে গেছে বাংলাদেশ।
গত সাফে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে সেমি-ফাইনালে ভুটানকে ৮-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিলেন সাবিনা-ঋতুপর্ণারা।
একটি পরিবর্তন এনে এদিনের একাদশ সাজান বাংলাদেশ কোচ। আক্রমণভাগে শামসুন্নাহার জুনিয়রের জায়গায় খেলান সাগরিকাকে; জাতীয় দলের হয়ে অভিষেকে ভুটানের বিপক্ষেই হ্যাটট্রিক উপহার দিয়েছিলেন এই ফরোয়ার্ড। জ্বরের কারণে আগের দিনের অনুশীলনে না থাকলেও, সেরে উঠে সাবিনা খেলেন শুরু থেকে।
কিক-অফের বাঁশি বাজতেই আক্রমণ শুরু বাংলাদেশের। তৃতীয় মিনিটে ঋতুপর্ণার ক্রসে তহুরা পা ছোঁয়ালেও বল যায় বাইরে। গোল না মিললেও জয়ের জন্য ভুটানের রক্ষণে বাংলাদেশের রূদ্ররূপ হয়ে ওঠে স্পষ্ট।
সপ্তম মিনিটে গোছালো আক্রমণে ভুটানের প্রতিরোধের বাঁধ ভাঙে বাংলাদেশ। তহুরার পাস ধরে বক্সের ঠিক ওপর থেকে বাম পায়ের জোরাল শটে জাল খুঁজে নেন ঋতুপর্ণা। চলতি আসরে এই ফরোয়ার্ডের এটা প্রথম গোল।
ব্যবধান দ্বিগুণ হতে পারত দ্বাদশ মিনিটে। ঋতুপর্ণার ক্রসে সাগরিকার হেড গোলরক্ষককে বোকা বানিয়ে ছুটছিল লক্ষ্যে, কিন্তু গোললাইন থেকে হেডে ফেরান ইদোন দর্জি। তিন মিনিট পর তহুরার শট আটকাতে পারেননি কেউ; শিউলি আজিমের পাস দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে নিয়ে শরীর ঘুরিয়ে বাঁ পায়ের নিখুঁত শটে লক্ষ্যভেদ করেন এই ফরোয়ার্ড।
২৩তম মিনিটে ডেমা নামগাইয়েলের শট ফিস্ট করে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে স্বস্তিতে রাখেন রূপনা চাকমা। একটু পর ব্যবধান আরও বাড়তে পারত, কিন্তু সাবিনার পায়ের কারিকুরিতে ডিফেন্ডারদের কাটিয়ে নেওয়া শট দূরের পোস্টে লেগে ফিরে আসে।
চলতি আসরে বাংলাদেশ অধিনায়কের গোলের অপেক্ষা ফুরায় ২৬তম মিনিটে। মনিকার আড়াআড়ি ক্রসে গোলমুখ থেকে নিখুঁত টোকায় ব্যবধান বাড়ান সাবিনা।
৩৫তম মিনিটে আবারও তহুরা ঝলক। বক্সের একটু ওপর থেকে শট নেন এই ফরোয়ার্ড। গোলরক্ষককের মাথার উপর দিয়ে বল লুটোপুটি খায় জালে। আসরে তহুরার গোল হলো চারটি।
দুই মিনিট পর বাম দিক দিয়ে বক্সে ঢুকে গোলরক্ষককে কাটিয়ে নিচু শটে বল জালে ঠেলে দুই হাত মেলে উদযাপনে মাতেন সাবিনা।
একটু পর ব্যবধান কমিয়ে ভুটানের আশা বাঁচিয়ে রাখেন ডেকি লাহজম। তবে ম্যাচের লাগাম মুঠোয় রেখেই বিরতিতে যায় পিটার বাটলারের দল।