সম্প্রতি সুইডেনে কোরআন পোড়ানোকে কেন্দ্র করে মুসলিম বিশ্বে উত্তেজনা বিরাজ করছে। দেশে দেশে উঠেছে নিন্দার ঝড়। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই আবারও মুসলিমদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ পোড়ানোর আয়োজন চলছে সুইডেনে। এমন খবর প্রকাশের পরই বাগদাদে অবস্থিত সুইডিশ দূতাবাসে হামলা চালিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। ইরাকি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যদি আবারও কোরআন পোড়ানো হয় তাহলে সুইডেনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা হবে। খবর রয়টার্সের।
সুইডিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী টোবিয়াস বিলস্ট্রোম বলেছেন, দূতাবাসের কর্মীরা নিরাপদে রয়েছে কিন্তু ইরাকি কর্তৃপক্ষ ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী দূতাবাস রক্ষার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে।
তাছাড়া ইরাকি সরকারও সুইডিশ দূতাবাস পোড়ানোর তীব্র নিন্দা করেছে। ইরাকি প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানির কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এগুলো নিরাপত্তা ব্যবস্থার লঙ্ঘন। তবে কূটনৈতিক মিশনগুলোকে রক্ষার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
কিন্তু সুইডিশ সরকারকে বাগদাদ জানিয়েছে, সুইডেনের মাটিতে যদি আবার কোরআন পোড়ানোর ঘটনা ঘটে তাহলে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করা হবে।
বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, বাগদাদে সুইডিশ দূতাবাসের ভেতর বিক্ষোভ করছেন একদল বিক্ষোভকারী। এসময় দূতাবাস ভবনের ভেতর থেকে কালো ধোঁয়া বের হতে দেখা গেছে।
সুইডেনে সম্প্রতি তথাকথিত বাকস্বাধীনতার নামে একের পর এক কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে মুসলিম বিশ্বে। দেশে দেশে সুইডিশ কূটনীতিকদের ডেকে কঠোর ভাষায় নিন্দা জানানো হয়েছে। ইসলামবিদ্বেষী পদক্ষেপের বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে সুইডিশ সরকারকে। এই ইস্যুতে জরুরি বৈঠকে বসেছিল জাতিসংঘও।
গত ২৮ জুন পবিত্র ঈদুল আজহার দিন সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমের প্রধান মসজিদের বাইরে মুসলিমদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআনে আগুন ধরিয়ে বিক্ষোভ করেন এক ব্যক্তি। এর জন্য তাকে অনুমতি দিয়েছিল সুইডিশ পুলিশ।
এর পরপরই প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে ওঠে মুসলিম বিশ্ব। মধ্যপ্রাচ্যসহ অসংখ্য দেশ এ ঘটনার নিন্দায় সরব হয় এবং স্টকহোমকে ধর্মীয় বিদ্বেষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানায়।