স্বাস্থ্য ডেস্ক:
প্রাণায়াম এবং যোগের নিয়মিত অনুশীলন ফুসফুসকে ভালো রাখতে সাহায্য করে। ফুসফুস আমাদের শ্বাস-প্রশ্বাসে সহায়তা করে এবং আমরা শ্বাস নেওয়ার সময় পর্যন্ত বেঁচে থাকি। প্রাণায়ামের নিয়মিত অনুশীলন এবং স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া আপনাকে সুস্থ ফুসফুস ও সামগ্রিকভাবে একটি সুস্থ শরীর বজায় রাখতে সাহায্য করতে পারে। কিছু নির্দিষ্ট খাবার এবং পুষ্টি আমাদের ফুসফুসের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী প্রমাণিত হয়েছে। আসুন জেনে নেই এই উপকারী খাবার এবং এগুলোর স্বাস্থ্য উপকারিতা।
১। রসুন : রসুনে প্রদাহ-বিরোধী এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা হাঁপানি, ব্রঙ্কাইটিস এবং ফুসফুসের ক্যান্সারের মতো রোগের ক্ষেত্রে উপকারী। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, ফুসফুসের ক্যান্সার রোগীদের মধ্যে রসুনের প্রতিরক্ষামূলক প্রভাব রয়েছে এবং এটি ফুসফুসের ক্যান্সারের জন্য কেমোপ্রিভেনটিভ এজেন্ট হতে পারে।
২। হলুদ : কারকিউমিন হলুদের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যা প্রদাহ বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। ক্লিনিক্যাল গবেষণায় দেখা যায় যে, কারকিউমিন পালমোনারি অবস্থার ক্ষেত্রে অস্বাভাবিক প্রদাহজনক প্রতিক্রিয়া, যেমন হাঁপানি, দীর্ঘস্থায়ী প্রতিবন্ধক পালমোনারি রোগ, তীব্র শ্বাসকষ্টের সমস্যা সিন্ড্রোম, পালমোনারি ফাইব্রোসিস এবং তীব্র ফুসফুসের আঘাতের ক্ষেত্রে কার্যকর।
৩। আদা : আদা আমাদের ফুসফুসে অনেক স্বাস্থ্য উপকার দেয়। এর প্রদাহবিরোধী গুণের কারণে আদা হাঁপানি রোগীদের ব্রঙ্কোডিলেশন সৃষ্টি করে। বিভিন্ন প্রাণী এবং মানুষের ক্লিনিকাল স্টাডিজ আদার ব্রঙ্কোডাইলেটরি প্রভাব প্রদর্শন করেছে। আদা মোটা শ্লেষ্মাও ভেঙে দেয় এবং শ্লেষ্মা বের করতে সাহায্য করে।
৪। মাছ : মাছের তেল ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ যা দীর্ঘস্থায়ী ফুসফুসের রোগ যেমন ক্রনিক অবস্ট্রাক্টিভ পালমোনারি ডিজিজ (সিওপিডি) রোগীদের জন্য উপকারী। ওমেগা–থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডে প্রদাহবিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা সিওপিডি রোগীদের ফুসফুসের প্রদাহ কমায়।
৫। আখরোট : আখরোট ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি এসিডে ভরপুর এবং সিওপিডি রোগীদের জন্য খুবই উপকারী।
৬। পেঁয়াজ : পেঁয়াজ হলো বহুল ব্যবহৃত একটি রান্না উপকরণ। এতে প্রচুর পরিমাণে মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টস এবং ভিটামিন রয়েছে। এটি বহু বছর ধরে সর্দি, ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং ব্রঙ্কাইটিস এবং হুপিং কাশির জন্য ভেষজ প্রতিকার হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। পেঁয়াজের প্রদাহবিরোধী এবং হাঁপানি-বিরোধী কার্যকলাপও রয়েছে।
৭। আপেল : অনেক ক্লিনিকাল গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত একটি আপেল খাওয়া ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। অস্ট্রেলিয়ায় পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, আপেল খেলে হাঁপানির ঝুঁকি কমে। আপেল আমাদের ফুসফুসের সার্বিক সুস্থতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।