ব্রাজিলের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় সাও পাওলো রাজ্যে প্রবল বর্ষণের কারণে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ৩৬ জন মারা গেছে। রোববার রাজ্য কর্তৃপক্ষের দেওয়া বিবৃতির বরাতে স্থানীয় গণমাধ্যম জানায়, এসব প্রাকৃতিক দুর্যোগে আরও কয়েকশ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। গতকাল সোমবার সাউ পাউলোর গভর্নর তারসিজিও জি ফ্রেইতাস দুর্যোগ পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বসবেন বলে ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে। টিভি ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ফুটেজে দেখা গেছে, সান সেবাস্তিও শহরের পুরো আঁশ পাাশের এলাকা পানির নিচে তলিয়ে গেছে এবং পাহাড়ঘেঁষা ঘরবাড়ির ধ্বংসাবশেষ পানিতে ভেসে যাচ্ছে। মহাসড়কগুলো পানির নিচে এবং গাছপালা উপড়ে পড়ে বেশ কিছু গাড়ি ধ্বংস হয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উদ্ধারকর্মীরা হতাহতদের খোঁজে সন্ধান অব্যাহত রেখেছেন, বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া এলাকাগুলোর সঙ্গে ফের সংযোগ স্থাপনের চেষ্টা করে যাচ্ছেন এবং রাস্তা পরিষ্কার করার চেষ্টা করছেন, এগুলোর মধ্যে কিছু এখনও অবরুদ্ধ হয়ে আছে আর তাতে ব্রাজিলের কার্নিভাল উৎসবে যোগ দিতে দেশটিতে যাওয়া অসংখ্য পর্যটক আটকা পড়েছেন। তবে কত জন নিখোঁজ কিংবা আহত হয়েছে কর্তপক্ষ সে বিষয়ে কিছু বলে নি। ব্রাজিলের কেন্দ্রীয় সরকার ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা, অবকাঠামো পুনরুদ্ধার ও পুনর্নির্মাণ শুরু করার প্রত্যয় নিয়ে বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয়কে কাজে লাগিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা আবহাওয়া পরিস্থিতিকে চরম ও নজিরবিহীন বলে বর্ণনা করেছেন। এ অবস্থায় ছয়টি শহরের জন্য ১৮০ দিনের দুর্যোগ পরিস্থিতি ঘোষণা করেছে সাউ পাউলো রাজ্য কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় একটি গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, শনিবার বাতাসের বেগ ঘণ্টায় ৫৫ কিলোমিটার ছাড়িয়ে যাওয়ার পর এবং সাগরে এক মিটারের চেয়েও উঁচু ঢেউয়ের কারণে লাতিন আমেরিকার বৃহত্তম বন্দর সান্তোসের কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটে। তিনি উদ্ধার কাজের জন্যে ১৫ লাখ মার্কিন ডলার প্রদান করেছেন। শুক্রবার থেকে অবকাশে থাকা দেশটির প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা ডা সিলভা সোমবার দুর্গত এলাকা পরিদর্শনে যাবেন।