ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের মধ্যকার যুদ্ধের শুরুর দিকে জ্বালানি তেলের আন্তর্জাতিক বাজারে খানিকটা চাঙ্গাভাব দেখা দিলেও সম্প্রতি ফের মন্দাভাব দেখা দিয়েছে।
এক প্রতিবেদেনে রয়টার্স জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার প্রতি ব্যারেল (১৫৯ লিটার) ব্রেন্ট ক্রুড অপরিশোধিত তেল বিক্রি হয়েছে ৮৭ দশকি ৯৩ ডলারে, যা আগের দিন বুধবারের তুলনায় ২ দশমিক ২০ ডলার কম।
আর ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) ক্রুড প্রতি ব্যারেল বিক্রি হয়েছে ৮৩ দশমিক ২ এক ডলারে। আগের দিন বুধবারের তুলনায় বৃহস্পতিবার এই তেলের দাম হ্রাস পেয়েছে ২ দশমিক ১৮ ডলার।
শতকরা হিসেবে মাত্র ২৪ ঘণ্টায় ব্রেন্ট ক্রুডের দাম হ্রাস পেয়েছে ২ দশমিক ৪৪ শতাংশ এবং ডব্লিউটিআই’র দাম কমেছে ২ দশমিক ৫৫ শতাংশ।
আন্তর্জাতিক জ্বালানি তেলের বাজার বিশ্লেষক ফিল ফ্লাইন রয়টার্সকে বলেন, ‘বাজারের অবস্থা ভালো নয়। যদি (ইসরায়েল-হামাস) যুদ্ধ দীর্ঘস্থায়ী হয়ে, সেক্ষেত্রে সামনের দিনগুলোতে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা শুরু হবে বাজারে।’
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পরও একই অবস্থা দেখা দিয়েছিল। মার্চ থেকে মে পর্যন্ত উর্ধ্বমুখী হলেও জুন থেকে মন্দাভাব শুরু হয় তেলের বাজারে। এই পরিস্থিতিতে বাজার ঠিক রাখতে তেলের দৈনিক উত্তোলন হ্রাস করতে বাধ্য হয়েছিল তেল উত্তোলন ও বিক্রয়কারী দেশগুলোর জোট ওপেক প্লাস।
সামনে নভেম্বরে বৈঠকে বসবে ওপেক প্লাসভুক্ত দেশগুলো।
জ্বালানি তেলের বাজার পর্যবেক্ষণকারী অপর সংস্থা মোবিয়াস রিস্কের পরিচালক ফিল থম্পসন রয়টার্সকে বলেন, ‘নতুন বছরে বাজারে যদি চাঙ্গাভাব রাখতে হয়, সেক্ষেত্রে আপাতত তেলের উত্তোলন হ্রাসের কোনো বিকল্প নেই।’