ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে ব্যাপক ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) রাজধানী কিয়েভ এবং আশপাশের অঞ্চলজুড়ে বেশ লম্বা সময় ধরে হামলা ও বিস্ফোরণের এই ঘটনা ঘটে।
এছাড়া কিয়েভের বেশ কিছু এলাকায় ড্রোনের ধ্বংসাবশেষও পড়েছে। রোববার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রোববার ভোরে রাশিয়া কিয়েভে ড্রোন হামলা চালিয়েছে। এসময় ইউক্রেনের রাজধানী ও এর অঞ্চলজুড়ে প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে বিস্ফোরণ ঘটে এবং শহরের কেন্দ্রীয় এলাকাগুলোর কয়েকটিতে ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ পড়ে।
অবশ্য কেমন মাত্রায় হামলা হয়েছে তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। রয়টার্সের প্রত্যক্ষদর্শীরা কিয়েভজুড়ে অন্তত পাঁচটি বিস্ফোরণ শুনেছেন এবং ইউক্রেনীয় মিডিয়ার ফুটেজে বেশ কয়েকটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে দেখা গেছে।
কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিটসকো বলেছেন, ড্রোন হামলায় কিয়েভের ঐতিহাসিক পোডিল এলাকায় একজন আহত হয়েছেন এবং শহরের একটি পার্কের কাছে আগুন লেগে যায়। এছাড়া বিধ্বস্ত ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ ডার্নিটস্কি, সোলোমিয়ানস্কি, শেভচেনকিভস্কি, সোভিয়াটোশিনস্কি এবং পোডিল এলাকায় পড়ে বলে ক্লিটসকো এবং শহরের সামরিক প্রশাসন জানিয়েছে।
অন্যদিকে শেভচেনকিভস্কি জেলায় ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ একটি অ্যাপার্টমেন্টের ওপরে পড়লে সেখানে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে অবশ্য তা দ্রুত নিভিয়ে ফেলা হয়। কিয়েভের সামরিক প্রশাসনের প্রধান সেরহি পপকো টেলিগ্রাম মেসেজিং অ্যাপে বলেছেন, তাৎক্ষণিকভাবে কারও আহত হওয়ার কোনও খবর পাওয়া যায়নি।
এছাড়া হামলার বিষয়ে রাশিয়ার পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া। এরপর থেকে সাড়ে পাঁচশো দিনেরও বেশি সময় ধরে যুদ্ধ চলছে উভয় দেশের মধ্যে। এছাড়া সংঘাতের এই পর্যায়ে এসে মস্কো প্রায়ই রাতের বেলা ইউক্রেনের ভূখণ্ডে হামলা চালাচ্ছে।
এর আগে গত বুধবার ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় শহর কোস্ত্যন্তিনিভকাতে রাশিয়ার হামলায় ১৭ জন বেসামরিক মানুষ নিহত হন। ওই হামলায় আহত হয়েছিলেন আরও অন্তত ৩৩ জন। যদিও বেসামরিক নাগরিকদের হামলার লক্ষ্যবস্তু করার বিষয়টি বরাবরই অস্বীকার করে এসেছে রাশিয়া।