জ্বালানির অভাবে পাম্প ও পানি বিশুদ্ধকরণ ব্যবস্থা বন্ধ থাকায় বাধ্য হয়ে ময়লা পানি পান করছেন গাজার বাসিন্দারা। গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের বিভিন্ন বসতি লক্ষ্য করে হামাসের হামলার পর গাজায় সর্বাত্মক অবরোধ আরোপ করে ইসরায়েলের সরকার। এই অবরোধের মাধ্যমে সেখানে জ্বালানি, পানি ও খাদ্য সরবরাহ বন্ধ করে দেয় তারা।
যদিও এক সপ্তাহ আগে গাজার দক্ষিণাঞ্চলের একটি জায়গায় পানি সরবরাহ চালু করে ইসরায়েল। কিন্তু যে পরিমাণ পানি এখন সেখানে যাচ্ছে সেগুলো অবরুদ্ধ এ উপত্যকার মানুষের জন্য খুবই অপ্রতুল।
গাজার বাসিন্দাদের বিশুদ্ধ পানির চাহিদা মেটানো হয় মূলত স্থানীয়ভাবে। কিন্তু জ্বালানি না থাকায় এখন পানির পাম্পগুলো বন্ধ আছে। এছাড়া যেসব যন্ত্র ব্যবহার করে পানি বিশুদ্ধকরণ করা হয় সেগুলোও বেকার পড়ে আছে।
এমন অবস্থায় বাধ্য হয়ে সাধারণ মানুষকে ময়লা ও লবণযুক্ত পানি পান করতে হচ্ছে। ময়লা পানি পান করায় এখন সেখানকার মানুষের বিভিন্ন পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত এবং পানির অভাবে পানিশূন্য হয়ে অনেক মানুষ মারা যেতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গত ১৭ অক্টোবর গাজার সরকারের বরাতে জাতিসংঘের সহযোগী সংস্থা ইউনিসেপ এক প্রতিবেদনে জানায়, গাজা উপত্যকায় পানির যে চাহিদা রয়েছে সেটির তুলনায় অনেক কম পানির সরবরাহ (৫ শতাংশ) রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) মোহাম্মদ আল শান্তি নামের এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, তিনি পানির জন্য প্রতিদিন চার মাইল পথ পাড়ি দিয়ে আল-আকসা হাসপাতালে যান। সেখান থেকে কয়েকটি প্লাস্টিক বোতলে পানি সংগ্রহ করেন। যেগুলো তার পরিবারের অতিপ্রয়োজনীয় চাহিদা মেটায়।
তিনি বলেছেন, ‘আমরা আমাদের কাপর আর ধুয়ে পড়ি না। আমরা প্রতি ফোঁটা পানি বাঁচাই। অবস্থা খুবই খারাপ।’
যুদ্ধ শুরুর দুই সপ্তাহ পর গাজায় খাদ্য ও ওষুধ সামগ্রী প্রবেশ করতে দেয় ইসরায়েল। তবে তারা সেখানে কোনো জ্বালানি প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। ইসরায়েলের দাবি, যদি গাজায় জ্বালানি যায় তাহলে সেগুলো হামাস জোর করে নিয়ে নেবে এবং এসব জ্বালানি ইসরায়েলে রকেট নিক্ষেপে ব্যবহার করা হবে।