বাংলাদেশের সাম্প্রতিক শিক্ষার্থী-জনতা আন্দোলনে ঘটা সহিংসতার বিভিন্ন ঘটনা পর্যালোচনা করতে ঢাকায় এসেছে জাতিসংঘের একটি টিম। আজ বৃহস্পতিবার টিমের সদস্যরা রাজধানীতে পৌঁছেছেন বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে জাতিসংঘের বাংলাদেশে শাখা কার্যালয়।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক অঙ্গসংস্থা ইউনাইটেড নেশন্স হাই কমিশনার ফর হিউম্যান রাইটসের এশিয়া প্যাসিফিক শাখার প্রধান নির্বাহী ররি মঙ্গোভেন এই টিমের নেতৃত্বে রয়েছেন। আগামী ২৯ তারিখ পর্যন্ত মোট সাত দিন টিমের সদস্যরা বাংলাদেশে অবস্থান করবেন বলে জানা গেছে। আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে তাদের সাক্ষাতের সূচি রয়েছে।
বাংলাদেশ শাখা কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে এ প্রসঙ্গে বলেন, “তাদের মূল লক্ষ্য কিন্তু সহিংসতার তদন্ত নয়, বরং পর্যালোচনা এবং এসব সহিংসতার ঘটনা কীভাবে তদন্ত করা হবে— সে বিষয়ক নির্দেশনা বা গাইডলাইন প্রদান করা।”
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে গত জুলাই মাসের শুরুর দিকে আন্দোলন শুরু করেছিলেন শিক্ষার্থীরা। এক পর্যায়ে সেই আন্দোলন সহিংস হয়ে ওঠে এবং পরিণত হয় সরকার পতন আন্দোলনে। আন্দোলন দমন করতে টিয়ার গ্যাস, রবার বুলেটের পাশাপাশি আগ্নেয়াস্ত্রও ব্যবহার করে পুলিশ। এতে নিহত হয়েছেন অন্তত ৩ শতাধিক মানুষ এবং আহত হয়েছেন আরও কয়েক হাজার। আন্দোলনের শেষ পর্যায়ে গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হন শেখ হাসিনা।
যখন এই আন্দোলন চলছিল, সে সময়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনের দপ্তর থেকে একাধিকবার সরকারের দমন-পীড়নের নিন্দা জানিয়েছিল। শেখ হাসিনা দেশত্যাগের পর এই সহিংসতা তদন্তের ঘোষণা দেন মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার ভলকের তুর্ক।
ইতোমধ্যে বাংলাদেশের নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহম্মদ ইউনূসকে প্রধান করে একটি অন্তবর্তী সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। গত সপ্তাহে ইউনূসকে টেলিফোন করে তুর্ক জানিয়েছিলেন, শিগগিরই জাতিষংঘের একটি প্রতিনিধি দল ঢাকায় আসছে।
সূত্র : রয়টার্স