শ্রীলঙ্কার নৌবাহিনী সমুদ্রসীমায় বিনা অনুমতিতে প্রবেশ করে মৎস আহরণের অভিযোগে ২৭ জন ভারতীয় মৎসজীবীকে গ্রেপ্তার করেছে । সোমবার দক্ষিণ এশিয়ার এই দ্বীপদেশটির উত্তরাঞ্চলীয় শহর জাফনার নিকটবর্তী দেলফ ও কাচ্চাতিভু দ্বীপের কাছাকাছি এলাকায় মাছ ধরার সময় তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে নৌবাহিনী।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার এই জেলেরা জানিয়েছেন, তারা সবাই ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য তামিলনাড়ুর উপকূলীয় শহর রামানাথাপুরমের বাসিন্দা।
এদিকে, জেলেদের গ্রেপ্তারের সংবাদে ক্ষুব্ধ হয়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন রামনাথপুরমের প্রায় ৭ হাজার মৎসজীবী। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের মৎস প্রতিমন্ত্রী এল মুরুগন এই ধর্মঘট প্রত্যাহারের অনুরোধ জানিয়ে তাদের বলেছেন, গ্রেপ্তার জেলেদের দেশে ফিরিয়ে আনতে শিগগিরই কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু করবে দিল্লি।
ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক মিত্রতা থাকলেও অনুপ্রবেশকারী ভারতীয় জেলেদের ব্যাপারে বেশ কঠোর শ্রীলঙ্কা। জলসীমায় অনুপ্রবেশের দায়ে গত দুই দশকে অন্তত ৬০০ ভারতীয় মৎসজীবী শ্রীলঙ্কার নৌবাহিনীর সদস্যদের হাতে খুন হয়েছেন।
বিগত কয়েক বছরে অবশ্য হত্যা বন্ধ হয়েছে। তার পরিবর্তে জলসীমায় অনুপ্রবেশকারী ভারতীয় জেলেদের আইনী হয়রানি ও তাদের নৌকা ও মাছ ধরার সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত করছে কলম্বো।
তবে তারপরও শ্রীলঙ্কার জলসীমায় অনুপ্রবেশ থেমে নেই ভারতীয় জেলেদের। এ প্রসঙ্গে তাদের বক্তব্য— শ্রীলঙ্কার জলসীমায় মাছের পরিমাণ ভারতীয় জলসীমার চাইতে অনেক বেশি। তাই বাধ্য হয়েই এই ঝুঁকি নেন তারা।
সরকারি হিসেব অনুযায়ী, ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার সমুদ্রসীমায় মাছ ধরার কারণে গ্রেপ্তার হয়েছেন মোট ১৩৭ জন ভারতীয় জেলে। আর এই সময়সীমায় মোট ২২টি মাছ ধরার নৌকা বাজেয়াপ্ত করেছে কলম্বো।