ন্যাটোতে যোগদানের ফিনল্যান্ডের প্রস্তাবকে ত্বরান্বিত করার লক্ষে দেশটি গতকাল মঙ্গলবার সংসদীয় বিতর্ক শুরু করেছে। দেশটির রাশিয়ার সাথে বিস্তৃত সীমানা রয়েছে। এ সীমানা ইউরোপের দেশগুলোর সাথে রাশিয়ার থাকা বৃহত্তম সীমান্তের অন্যতম। প্রতিবেশি দেশ ও সামরিক অংশীদার সুইডেনকে ছাড়াই তারা এ ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে। খবর এএফপি’র। মস্কোর ইউক্রেন আগ্রাসনে উদ্বিগ্ন হয়ে ফিনল্যান্ড ও সুইডেন তাদের কয়েক দশকের সামরিক নীতি থেকে বেরিয়ে আসে এবং গত বছরের মে মাসে নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজেশনে (ন্যাটো) যোগদানের জন্য আবেদন করে। কিন্তু স্টকহোমের তুলনায় কম কূটনৈতিক প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হেলসিঙ্কি এ ক্ষেত্রে ফিনল্যান্ডের এপ্রিলের সাধারণ নির্বাচনের আগেও এগিয়ে যেতে প্রস্তুত বলে মনে হচ্ছে। কারণ, দেশটির জনমতও আটলান্টিক সামরিক জোটের সদস্যপদ পাওয়ার পক্ষে রয়েছে। ন্যাটোর ৩০ সদস্য দেশের মধ্যে কেবলমাত্র দু’টি ছাড়া সকলেরই ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের সদস্যপদ পাওয়ার পক্ষে সমর্থন রয়েছে। এ ক্ষেত্রে হাঙ্গেরি এবং বিশেষকরে তুরস্ক সমর্থন জানানোর বাইরে রয়েছে। ফিনল্যান্ডের অনেক পার্লামেন্ট সদস্য আইন প্রণয়নের ওপর জোর দিয়ে বলেছেন, ফিনল্যান্ড ২ এপ্রিল নির্বাচনের আগে পাস হতে চলা ন্যাটোর চুক্তির শর্তাবলী মেনে নিয়েছে। ফিনল্যান্ড গতকাল মঙ্গলবার বিলটি নিয়ে বিতর্ক করবে। ন্যাটো মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গের সফরের সাথে মিল রেখে তারা এ আলোচনা করতে যাচ্ছেন। এ সফরকালে তিনি প্রধানমন্ত্রী সানা মারিন এবং প্রেসিডেন্ট সাউলি নিনিসটোরের সাথে সাক্ষাত করবেন। বাসস