ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভয়াবহরকমভাবে ছড়িয়ে পড়েছে এইচআইভি। ত্রিপুরার এইডস নিয়ন্ত্রণ সোসাইটির প্রকাশিত তথ্যের মাধ্যমে সামনে এসেছে বিষয়টি।
সংস্থাটি জানিয়েছে, ত্রিপুরায় ৮২৮ শিক্ষার্থী এইচআইভিতে আক্রান্ত হয়েছে। যার মধ্যে ৪৭ জন মারা গেছে। যারা এইচআইভিতে আক্রান্ত হয়েছে তাদের বেশিরভাগই সিরিঞ্জের মাধ্যমে মাদক গ্রহণ করেছিল।
এই ৮২৮ শিক্ষার্থীর দেহে এইচআইভি শনাক্ত হয়েছে ২০০৭ সালের এপ্রিল থেকে ২০২৪ সালের মে মাস পর্যন্ত।
৮শরও বেশি শিক্ষার্থীর এইচআইভি আক্রান্ত হওয়া নিয়ে রাজ্যে শোরগোল চলছে। অনেকে মনে করছেন এই শিক্ষার্থীরা অল্প কয়েকদিনের ব্যবধানে প্রাণঘাতী এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। তবে বিষয়টি পরিষ্কার করেছে সংস্থাটি। তারা এক বিবৃতিতে বলেছে, এই তথ্যটি গত ১৭ বছরের।
আর যারা এইচআইভিতে আক্রান্ত হয়েছেন তাদের মধ্যে বেশিরভাগই বেঁচে আছে। এছাড়া তাদের সবাইকে সরকারি ওষুধও প্রদান করা হয়েছে।
সংস্থাটি আরও জানিয়েছে এইচআইভি ত্রিপুরার ২২০টি স্কুল এবং ২৪টি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়িয়ে পড়েছে। আর এইচআইভিতে আক্রান্ত হওয়া শিক্ষার্থীদের বেশিরভাগের বাবা-মা সরকারি চাকরীজীবি অথবা আর্থিকভাবে স্বচ্ছল। এসব বাবা-মায়ের সন্তানেরা যে পরিমাণ অর্থ চায় তা সহজেই পেয়ে যায়। এরপর এই অর্থ তারা মাদকের পেছনে ব্যয় করে। বাবা-মা যখন সন্তানের মাদকাসক্তির বিষয়ে জানতে পারেন তখন অনেক দেরি হয়ে যায়।
তবে গত ১৭ বছরে ৮২৮ শিক্ষার্থী এইচআইভিতে আক্রান্ত হলেও— প্রতি বছর রাজ্যটিতে যে পরিমাণ মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন তা খুবই উদ্বেগের। এইডস নিয়ন্ত্রণ সোসাইটির তথ্য অনুযায়ী ত্রিপুরায় ২০২২-২৩ সালে ১ হাজার ৮৪৭ জন এইচআইভি পজেটিভ হয়েছেন। ২০২৩-২৪ সালে এই সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৭৯০ জন।
সূত্র: দ্য ইকোনোমিক টাইমস