বাংলাদেশে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক সমাবেশে অন্তত ২৭ সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনা কর্তৃপক্ষকে অবিলম্বে এবং নিরপেক্ষভাবে তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষায় সোচ্চার বৈশ্বিক সংগঠন কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে)। বুধবার নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে নিউইয়র্কভিত্তিক এই সংগঠন বলেছে, সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় দোষীদের জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।
গত শনিবার (২৮ অক্টোবর) রাজধানী ঢাকায় সমাবেশের খবর সংগ্রহের সময় প্রধান বিরোধীদল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সমর্থকদের পাশাপাশি পুলিশের হামলার শিকার হন কমপক্ষে ২৭ সাংবাদিক। স্থানীয় গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করা গোষ্ঠী বাংলাদেশি জার্নালিস্ট ইন ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়ার এক বিবৃতি, কয়েকজন সাংবাদিক ও গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য সংগ্রহ করেছে সিপিজে।
আগামী জানুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠানের দাবিতে আন্দোলন করে আসছে বিএনপি। দলটি ঢাকায় মহাসমাবেশ করেছে গত ২৮ অক্টোবর। ওইদিন পুলিশের সাথে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দিতে টিয়ার গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড ও রাবার বুলেট ছোড়ে পুলিশ। সহিংসতার সংবাদ সংগ্রহের সময় দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমের দুই ডজনের বেশি সাংবাদিক আহত হয়েছেন।
সিপিজের প্রোগ্রামবিষয়ক পরিচালক কার্লোস মার্টিনেজ ডে লা সারনা বলেন, ঢাকায় সাম্প্রতিক রাজনৈতিক সমাবেশের সংবাদ পরিবেশনের সময় কমপেক্ষ ২৭ জন বাংলাদেশি সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় দ্রুত এবং স্বচ্ছ জবাবদিহি অবশ্যই করতে হবে।
তিনি বলেন, আগামী জানুয়ারির আসন্ন নির্বাচন নিয়ে সাংবাদিকদের স্বাধীনভাবে এবং নিরাপদে প্রতিবেদন তৈরির অধিকারের প্রতি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি পুলিশকে অব্যশই শ্রদ্ধাশীল হতে হবে।
এছাড়া একই দিন পৃথক হামলায় আহত এক সাংবাদিকের বিষয়ে সিপিজে তদন্ত করছে বলে জানিয়েছে সাংবাদিকদের বৈশ্বিক এই সংগঠন। সাংবাদিকদের ওপর হামলার বিষয়ে জানতে বিএনপির মুখপাত্র জহির উদ্দিন স্বপন, তথ্যমন্ত্রী হাসান মাহমুুদ এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার হাবিবুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করলেও সিপিজে কোনও সাড়া পায়নি বলে জানিয়েছে।