স্বাস্থ্য ডেস্ক:
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল জনসাধারণের জন্য স্মার্ট স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএসএমএমইউর উপাচার্য অধ্যাপক শারফুদ্দিন আহমেদ।
আজ বুধবার গণমাধ্যমে দেওয়া এক বক্তব্য তিনি বলেন, দেশে আন্তর্জাতিক মানের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করা, চিকিৎসকদের জন্য অত্যাধুনিক পোস্টগ্র্যাজুয়েট ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা, বায়োমেডিকেল রিসার্চ, জিন থেরাপি, রোবটিক সার্জারি থেকে শুরু করে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে হৃদরোগ, কিডনি রোগ, লিভার, গল ব্লাডার ও প্যানক্রিয়েটিক, অরগান ট্রান্সপ্লান্ট, ক্যান্সার, কিডনি রোগ, নিউরোসার্জারিসহ বিভিন্ন জটিল রোগের বিশেষায়িত চিকিৎসার ব্যবস্থা বাংলাদেশে চিকিৎসা ক্ষেত্রে একটি নতুন মাইলফলক যোগ করেছে। প্রযুক্তিগত দিক বিবেচনায় এটি দেশের প্রথম একমাত্র পেপারলেস হাসপাতাল।
শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, চিকিৎসক, নার্স ও কর্মকর্তাদের জন্য রাখা হচ্ছে বিশ্বমানের প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা ও মৌলিক গবেষণার জন্য রয়েছে আলাদা সেন্টার। এসব সেন্টারে দুই বছরের জন্য নিয়োজিত থাকবেন ছয় জন কোরিয়ান ইঞ্জিনিয়ার ও ৫০ জন কোরিয়ান বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। ইতোমধ্যে তিন দফায় এ দেশীয় ১৭৪ জন চিকিৎসক, কর্মকর্তা, নার্স, টেকনোলজিস্টকে দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে এ দেশীয় জনবলকে প্রশিক্ষিত করতে ছয় জন কোরিয়ান ইঞ্জিনিয়ার ও ৫০ জন কোরিয়ান বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ভূমিকা রাখবেন।
তিনি আরও বলেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর গড়ে প্রতিদিন দুই হাজার রোগী দেখার চাপ বেড়েছে। তবে ৮ হাজার ৫০০ জন মানুষকে সেবা দিতে তেমন বেগ পেতে হচ্ছে না আমাদের। কর্মীদের কর্মপরিবেশ ফিরিয়ে দিয়েছি, তাদের চাকরির নিশ্চয়তা নিশ্চিত করেছি, এখন কর্মস্পৃহা বেড়েছে কয়েকগুণ। সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালকে ফুল সার্ভিসে নিয়ে যেতে অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলোও ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সরকার ও কোরিয়ার এক্সিম ব্যাংক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ অর্থায়নে নির্মিত হয়েছে এই অত্যাধুনিক বিশেষায়িত হাসপাতাল।