স্টাফ রিপোর্টার:
সারা দেশে হারিকেন দিয়ে খুঁজে খুঁজে বিএনপির নেতা কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে বলে দাবি করেছে ১২ দলীয় জোটের নেতারা। তারা বলছেন, গণতন্ত্রের ঘাতক হাসিনা সরকার বিরোধীদলের ওপর বেপরোয়া দমন পীড়ন চালিয়ে নিজেদের পতনকেই ত্বরান্বিত করছে। নিজেরাই নিজেদের ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা সংকট তৈরি করছে। বিরোধী দলের ওপর নিষ্ঠুর আচরণ বুমেরাং হয়ে তাদের জীবনেই ফিরে আসবে।
আজ সোমবার (৬ নভেম্বর) দেশব্যাপী ৪৮ ঘণ্টার সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি সফলের লক্ষ্যে দ্বিতীয় দিনের মতো বিজয়নগর টেপা কমপ্লেক্স সামনে মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে ১২ দলীয় জোট।
জোটের নেতারা বলেন, ১৯৭৪ সঙ্গে আওয়ামী সরকার বিরোধী দলের ওপর নিপীড়নমূলক ‘বিশেষ ক্ষমতা আইন’ প্রণয়ন করেছিল। ইতিহাস সাক্ষী ১৯৭৫ সালে ক্ষমতা হারানোর পরে ২১ বছর পর্যন্ত ক্ষমতার বাইরে থাকাকালে নিজেদের প্রণীত বিশেষ ক্ষমতা আইনে সবচেয়ে বেশি নিগৃহীত ও হয়রানির শিকার হয়েছে আওয়ামী লীগ।
সরকার ১৮ কোটি মানুষকে কারাগারে আটকে রাখতে পারবে না উল্লেখ করে ১২ দলীয় জোটের নেতারা আরও বলেন, জনগণই ভোটারবিহীন পাতানো ভোটের আয়োজন পন্ড করে দেবে। বিএনপির কেন্দ্রীয় ও তৃণমূল পর্যায়ে প্রায় সব নেতাকে গ্রেপ্তার করে আন্দোলনের দায়িত্ব জনগণের হাতে তুলে দিয়েছে। সরকারের বিএনপি দমন ও বাড়াবাড়ি দেশের মানুষকে ক্ষুব্ধ করে তুলেছে। নেতা বিহীন আন্দোলন বিনা পিকেটিং ও নেতৃত্ব ছাড়াই দেশের মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে এগিয়ে নিচ্ছে।
জনগণ ২৯ তারিখের হরতাল স্বপ্রণোদিত হয়ে পালন করেছে উল্লেখ করে জোটের নেতারা বলেন, তারপর ৩ দিনের অবরোধ এবং সবশেষে ২ দিনের অবরোধ সারা দেশকে অচল করে দিয়েছে।
দেশের মানুষ এবং পুরো দুনিয়া সরকারের বাড়াবাড়ি এবং অবিবেচক কর্মকাণ্ডের দিকে দৃষ্টি রাখছে বলে মনে করেন জোটের নেতারা। তারা বলেন, আরেকটি বিনাভোটের ২০১৪ সালের স্বপ্ন-দুঃস্বপ্ন বয়ে আনছে। আওয়ামী লীগ বুঝতে পারছে না, যখন বুঝতে পারবে তখন বুঝে কোনো লাভ হবে না!
বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে অংশগ্রহণ করে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান ১২দলীয় জোটের সমন্বয়ক সৈয়দ এহসানুল হুদা, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য নোয়াব আলী আব্বাস খান, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম প্রমুখ।