স্টাফ রিপোর্টার:
বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতালের সমর্থনে ঝটিকা মিছিল করেছে গণঅধিকার পরিষদ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি ও গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের নেতৃত্বে আজ রোববার (২৯ অক্টোবর) দুপুর সোয়া ১টার দিকে এ মিছিল বের হয়।
সংক্ষিপ্ত মিছিল শেষে বর্তমানের সরকারের পদত্যাগ দাবি করেছে দলটি। এসময় নুরুল হক নুর বলেন, ছাত্রলীগ-যুবলীগ সারা দেশে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করেছে। তারা বিভিন্ন পয়েন্টে মিছিল করছে, অবস্থান গ্রহণ করেছে। এরপরও প্রাণ বাজি রেখে আমরা রাজপথে এসেছি। এই ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন না ঘটিয়ে আমরা রাজপথ ছাড়ব না।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, অবিলম্বে পদত্যাগ করুন। ছাত্রলীগ-যুবলীগ ও পুলিশ নামিয়ে জনস্রোত ঠেকাতে পারবেন না। জনগণকে এই সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের সমর্থনের আহ্বান জানাই। হরতাল পালন করুন। আমাদের এই লড়াই ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই। এই লড়াইয়ে হেরে গেলে বাংলাদেশ ভারতের অঙ্গরাজ্যে পরিণত হবে। আমাদের লড়াই চলবে। বিকেলে আমরা পল্টনে সমাবেশ করব।
এদিকে হরতালে দিনের শুরু থেকে দুপুর সোয়া ১টা পর্যন্ত রাজধানীর রাস্তায় গণপরিবহনসহ সব ধরনের যানবাহন চলেছে খুব কম। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার মোড়ে মোড়ে পুলিশের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীদের উপস্থিতি দেখা গেছে।
রোববার রাজধানীর রামপুরা, বাড্ডা, মালিবাগ ও মৌচাক এলাকা ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, ঢাকার সড়কে অন্য দিনের মতোই সাধারণ মানুষ নিজ নিজ গন্তব্যে বের হয়েছেন। ব্যক্তিগত পরিবহনের সংখ্যা অনেক কম দেখা গেলেও গণপরিবহন ও রিকশার উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়।
শনিবার রাজধানীতে বিএনপির সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সহিংসতা হয়। দফায়-দফায় সংঘর্ষে পুলিশ-সাংবাদিকসহ রাজনৈতিক দলের বহু কর্মী আহত হন। পুড়িয়ে দেওয়া হয় পুলিশ বক্স ও গাড়ি। হামলা-ভাঙচুর চালানো হয় প্রধান বিচারপতির বাসভবনের গেট, রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে। রক্ষা পায়নি গণমাধ্যমের যানবাহনও। আটক করা হয়েছে বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে।