ভারতের সমাজবাদী পার্টির নেতা স্বামী প্রসাদ মোরিয়া হিন্দু ধর্ম নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘হিন্দু ধর্ম হলো ধোঁকাবাজি। হিন্দু ধর্ম কোনো ধর্ম নয়, এটি কিছু মানুষের জীবিকার ব্যবস্থা।’
গতকাল সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) জাতীয় বৌদ্ধ ও বহুজন অধিকার কনফারেন্সে এমন কথা বলেন স্বামী প্রসাব মোরিয়া। এমন মন্তব্যের পর তোপের মুখে পড়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘হিন্দুধর্ম একটি ধোঁকাবাজি… ১৯৫৫ সালে সুপ্রিম কোর্ট তার রায়ে বলেছিলেন হিন্দু কোনো ধর্ম নয়, এটি একটি জীবন ব্যবস্থা। এটি ২০০ ধর্মের একটি সমষ্টি। এমনকি মোহন ভগবত বলেছিলেন, একবার নয় দুইবার, যে হিন্দু কোনো ধর্ম নয় এটি জীবন ব্যবস্থা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও বলেছেন হিন্দু কোনো ধর্ম নয়। এমনকি নীতিন গড়করি এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেছিলেন।’
সমাজবাদী পার্টির এ নেতা বলেছেন, যখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও অন্যান্যরা হিন্দু ধর্ম নিয়ে ঠিক একই কথা বলেন তখন কেন কারও অনুভূতিতে আঘাত লাগে না, কিন্তু তিন বললে কেন অনুভূতিতে আঘাত লাগে?
তিনি বলেছেন, ‘তারা যখন বলে তখন কারও অনুভূতিতে আঘাত লাগে না। কিন্তু স্বামী প্রসাদ যখন বলে হিন্দু কোনো ধর্ম নয়, কিন্তু ধোঁকাবাজি, যেটিকে আমরা বলি হিন্দুত্ববাদ কারও কারও ব্যবসা। তখন পুরো দেশ ফুঁসে ওঠে।’
‘যখন সুপ্রিম কোর্ট ১৯৫৫ সালে একই কথা বলেছিল, কেউ কিছু বলেনি। যখন স্বামী প্রসাদ বলে তখন পুরো দেশজুড়ে এফআইআর করা হয়। ভারতীয় সংবিধান যা বলে আমি ঠিক তাই বলছি,’ যোগ করেন স্বামী প্রসাদ।
তিনি দাবি করেন, হিন্দুদের মধ্যে যারা নিচু জাতের আছেন তাদের ব্যবহার করে উঁচু জাতের হিন্দুরা ক্ষমতায় আসে। তাদের ভোট ব্যাংক হিসেবে ব্যবহার করে। কিন্তু পরবর্তীতে সেসব কথা ভুলে যায়।