ভারতের শীর্ষস্থানীয় রাজনীতিক এবং দেশটির প্রধান বিরোধী দল ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি সোনিয়া গান্ধী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তিনি বুকের সংক্রমণে ভুগছেন। তাকে রাজধানী নয়াদিল্লির গঙ্গারাম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে রোববার দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুকে সমস্যার কথা জানানোর পর শনিবার সন্ধ্যায় দিল্লির স্যার গঙ্গারাম হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলেছে, বেশ কিছুক্ষণ ধরে বুকে সংক্রমণের অভিযোগ করায় নিয়মিত চেক-আপের জন্য তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এনডিটিভি বলছে, ৭৬ বছর বয়সী কংগ্রেস নেতা ও উত্তর প্রদেশের রায়বেরেলির সংসদ সদস্য সোনিয়া গান্ধী ভারতশাসিত কাশ্মিরের শ্রীনগর সফর থেকে ফিরে আসার কয়েকদিন পরই বুকে সংক্রমণের কথা জানালেন এবং হাসপাতালে ভর্তি হলেন।
ভারতীয় বার্তাসংস্থা পিটিআইয়ের বরাত দিয়ে পৃথক প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু জানিয়েছে, প্রবীণ কংগ্রেস নেতা সোনিয়া গান্ধীকে হালকা জ্বর নিয়ে নয়াদিল্লির স্যার গঙ্গারাম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে তার অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে বলে বেশ কয়েকটি সূত্র রোববার জানিয়েছে।
সেখানকার জ্যেষ্ঠ এক চিকিৎসক পিটিআইকে জানিয়েছেন, শনিবার সন্ধ্যায় মধ্য দিল্লির হাসপাতালে সোনিয়া গান্ধীকে ভর্তি করা হয়। তার ভাষায়, ‘হালকা জ্বর আছে, কিন্তু তিনি ভালো আছেন। চিকিৎসকদের একটি দল তার অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছেন।’
সোনিয়া গান্ধী শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলেও সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে দ্য হিন্দু। এ নিয়ে চলতি বছর তৃতীয়বারের মতো হাসপাতালে ভর্তি হলেন সোনিয়া গান্ধী। এর আগে চলতি বছরের মার্চে শ্বাসতন্ত্রের রোগ ব্রঙ্কাইটিসে আক্রান্ত হয়ে দিল্লির স্যার গঙ্গারাম হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন সোনিয়া।
তার আগে গত জানুয়ারিতে দিল্লির একটি হাসপাতালে শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে চিকিৎসা নিয়েছিলেন তিনি। এছাড়া গত বছরের ১২ জুন দিল্লির গঙ্গা রাম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল সোনিয়াকে। সেসময় তিনি কোভিড সংক্রান্ত জটিলতার জেরে হাসপাতালে ভর্তি হন। এরপর ১৮ জুন তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হয়। প্রবীণ এই কংগ্রেস নেতা গত বছর দু’বার কোভিডে আক্রন্ত হয়েছিলেন।
উল্লেখ্য, সোনিয়া গান্ধী ভারতের বৃহৎ ও পুরোনো রাজনৈতিক দল কংগ্রেসের সভানেত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন দীর্ঘ সময়। ১৯৯৭ সালে প্রথম কংগ্রেসের সভানেত্রী নির্বাচিত হয়ে টানা ২০ বছর এ পদে ছিলেন তিনি। এরপর ২০১৭ সালে পদত্যাগ করেন। কিন্তু দুই বছর পর আবারও দলীয় প্রধান নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।
যদিও বর্তমানে তিনি কংগ্রেস সভানেত্রীর পদে নেই। এছাড়া সোনিয়া দীর্ঘসময় কংগ্রেসের সভানেত্রী থাকলেও তিনি কখনোই ভারতীয় সরকারের কোনও সরকারি দায়িত্ব পালন করেননি।