ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী কুমার চৌবে বলেছেন, আগামী ২০২৪ সালের মধ্যে সব ফিরিঙ্গিকে (বিদেশিদের বোঝাতে হিন্দিতে ব্যবহৃত শব্দ) বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। দেশটির বিহার রাজ্যের পাটনায় এক অনুষ্ঠানে তিনি এমন মন্তব্য করেছেন বলে সোমবার হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
দেশটির কেন্দ্রীয় এই মন্ত্রী বলেন, ‘২০২৪ সালে বিহারের ৪০টি আসনে এই ফিরিঙ্গি শাসনকে প্রকাশ্যে নিয়ে আসব। সব ফিরঙ্গিরা শুনুন, আমরা আপনাদের ২০২৪ সালে বাংলাদেশে পাঠাব। ২০২৫ সালে আমরা বিহারে বিজেপির শাসন প্রতিষ্ঠা করব।’
দলীয় ওই অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘বিজেপিকে ছেড়ে আরজেডির সঙ্গে হাত মেলানো জেডিইউর বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার সময় এসে গেছে।’
বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারকে তোপ দেগে অশ্বিনী বলেন, ২০১৪ সালে নীতিশ কুমার বলেছিলেন, তিনি বিজেপির সাথে হাত মেলাবেন না। আমাদের সঙ্গে হাত মেলানোর বদলে তিনি মাটিতে মিশে যেতে চেয়েছিলেন। এরপর তিনি পাঁচ বছর আমাদের (বিজেপি) সঙ্গে ছিলেন। আমরা তাই এখন মাটি খুঁজছি। তাকে কোথায় খুঁজে পাওয়া যাবে, সেটাই খুঁজছি।
নীতিশকে হুঁশিয়ার করে দিয়ে তিনি বলেন, রাজনৈতিকভাবে মানুষ আপনাকে শেষ করে দেবে। তিনি বুঝেছেন যে আমরা তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শেষ করব।
ভারতের কেন্দ্রীয় এই মন্ত্রী বলেন, বিজেপি কখনই ইউ-টার্ন নেয় না। অন্যদিকে নীতিশ কুমার ইউ-টার্নের পর ইউ-টার্ন নেন। তার ভুলে যাওয়া উচিত নয় যে লালু প্রসাদ যাদবের বিরুদ্ধে যদি বিজেপি তাকে সমর্থন না করত, তাহলে তিনি গরীবদের মসিহা হয়ে উঠতেন না। নীতিশ কুমার আমাদের ছেড়ে দিয়েছেন এবং তাকে এর জন্য উপযুক্ত শিক্ষা দেওয়া উচিত।
তিনি বলেন, আমরা নীতিশ কুমারকে একাধিকবার সমর্থন করেছি। কিন্তু তিনি আমাদের প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসের পরও আমাদের ত্যাগ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী তাকে বলেছিলেন, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদে তিনিই থাকবেন। এখন বিজেপি কর্মীদের প্রতিশোধ নিতে হবে। তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার সম্পর্কে আমি বলব, মাটিতে মিশিয়ে দেব।
এদিকে, নীতিশকে ‘মাটিতে মিশিয়ে দেব’ বলে অশ্বিনী যে মন্তব্য করেছেন তার বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। এক অনুষ্ঠানে নীতিশ কুমার বলেছেন, ‘যদি সে এই কথা বলে থাকে, তবে তাকে তা করে দেখাতে বলুন। আমাকে কি কখনও এই ধরনের কথা বলতে শুনেছে কেউ? যারা এ ধরনের শব্দ ব্যবহার করেন তাদের বুদ্ধি নেই। তারা যা ইচ্ছে করতে পারেন।