শহরের বাসিন্দা মাত্র ৭০০ জনের কিছু বেশি। আর সেখানেই পর্যটনের মৌসুমে দিনে পর্যটক যান ১০ হাজার জন। আর এরই প্রতিবাদে বিক্ষোভে নেমেছেন স্থানীয়রা। তাদের দাবি, প্রতিদিন এই শহরে ঠিক কত সংখ্যক পর্যটক আসতে পারবেন, তার সংখ্যা সীমাবদ্ধ করে দিতে হবে।
পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় গন্তব্য এই শহরের নাম হলস্ট্যাট। অস্ট্রিয়ার এই শহরটি একটি ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট। সোমবার (২৮ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিদিন বিপুল সংখ্যায় পর্যটক আসার কারণে বিক্ষোভে নেমেছেন অস্ট্রিয়ার হলস্ট্যাট শহরের স্থানীয় বাসিন্দারা। বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান বলে ঘোষিত এই শহরের বাসিন্দা মাত্র ৭০০ জনের কিছু বেশি। তবে উচ্চ পর্যটন মৌসুমে প্রতিদিন এই শহরটিতে ১০ হাজার পর্যটক আসেন।
বিবিসি বলছে, বিক্ষোভে অংশ নেওয়া বাসিন্দারা তাদের শহরে প্রতিদিন কত সংখ্যক পর্যটক আসতে পারবেন, সেই সংখ্যা সীমাবদ্ধ করে দিতে এবং স্থানীয় সময় বিকেল পাঁচটার পরে পর্যটকবাহী বাস শহরে প্রবেশ নিষিদ্ধ করতে দাবি জানিয়েছেন।
যদিও বেশি সংখ্যায় পর্যটক আসার বিষয়টি হলস্ট্যাটের অর্থনীতির জন্যই ভালো, তারপরও শহরের কিছু স্থানীয় বাসিন্দা বলছেন, এখানে এখন খুব বেশি পর্যটক আসছেন। মূলত হলস্ট্যাট শহরটি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে একটি পর্যটন হটস্পট হয়ে উঠেছে।
২০০৬ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার একটি রোমান্টিক নাটকে অস্ট্রিয়ার এই শহরটি প্রদর্শিত হয়েছিল। আর সেই ঘটনার পর এশিয়াতে শহরটির জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পায়। আর তার ছয় বছর পরে চীনে হলস্ট্যাট শহরের একটি প্রতিরূপও তৈরি করা হয়।
বিবিসি বলছে, শব্দ দূষণ এবং বাইরে থেকে প্রচুর গাড়ি আসার প্রতিবাদে চলতি বছরের মে মাসে হলস্ট্যাটের বাসিন্দারা সেলফি তোলার জন্য শহরের সবচেয়ে জনপ্রিয় জায়গাটিতে সাময়িকভাবে একটি কাঠের প্রাচীর তৈরি করে দেয়। এতে করে সেখান থেকে আল্পস পর্বতের দৃশ্য দেখার সুযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
অবশ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিক্রিয়া সৃষ্টির পর সেই প্রাচীরটি পরে সরিয়ে দেওয়া হয়। তখন শহরের মেয়র বলেছিলেন, হলস্ট্যাটের মধ্য দিয়ে যাওয়া বাসের সংখ্যা এক-তৃতীয়াংশ কমাতে চান তিনি।
উল্লেখ্য, করোনা মহামারি শুরুর এক বছর আগে অস্ট্রিয়ার এই শহরে প্রায় ১০ লাখ পর্যটক ঘুরতে গিয়েছিলেন।