দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে একটি ভবনে আগুন লেগে অন্তত ৭৩ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া ভয়াবহ এ আগুনে পুড়ে আহত হয়েছেন ৫০ জনেরও বেশি মানুষ।
বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) ভোরে ভবনটিতে আগুন লাগে। যা দ্রুত সময়ের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। প্রাথমিক অবস্থায় ৫২ জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছিল স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। পরবর্তীতে এ সংখ্যা বাড়ানো হয়।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাতে জানিয়েছে, যে ভবনটিতে আগুন লেগেছে সেটির বেশিরভাগ বাসিন্দাই ছিলেন অবৈধ অভিবাসী। ফলে আশঙ্কা করা হচ্ছে মৃতদের মধ্যে অনেক অভিবাসী রয়েছেন।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম আরও জানিয়েছে, যেখানে ভবনটি অবস্থিত সেটি ‘হাইজ্যাকড বিল্ডিং’ এলাকার মধ্যে ছিল। দক্ষিণ আফ্রিকায় হ্যাইজ্যাকড বিল্ডিং বা ছিনতাইকৃত ভবন হিসেবে সেগুলোকে বলা হয়— যেগুলো অবৈধ অভিবাসীরা অবৈধভাবে দখল করে নেয়। আর এসব ভবনের বেশিরভাগই পরিত্যক্ত থাকে।
বিবিসির কাছে ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মী জানিয়েছেন, ভবনটির ভেতর আটকে পড়েই বেশিরভাগ মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
ভবনটির অবৈধ বাসিন্দারা সেটির ভেতর নিজেদের মতো খুপরী তৈরি করে নিয়েছিলেন। যেগুলো থেকে তারা বের হতে পারেননি। আর খুপরীগুলো আবার এমন পদার্থ দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল, যেগুলো আগুন পেয়ে দাউ দাউ করে জ্বলে ওঠে। আর এসব খুপরীর কারণেই আগুন এত ভয়াবহ হয়েছে।
অবৈধ অভিবাসী ছাড়া সেখানে গৃহহীনরাও থাকতেন বলে জানিয়েছেন জোহানেসবার্গের জরুরি পরিষেবার মুখপাত্র রবার্ট মুলাউদজি।
তিনি বিবিসিকে বলেছেন, এ ভবনটি আগে পরিত্যক্ত করা হয়েছিল। তবে শীতের কারণে গৃহহীনরা কয়েকদিন আগে এ ভবনটিতে ঠাঁই নিয়েছিলেন।
তিনি আরও জানিয়েছেন, যেহেতু ভবনটি পরিত্যক্ত ছিল, ফলে এটিতে কোনো ধরনের রক্ষণাবেক্ষণ বা নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখার কথা ছিল না।
এই কর্মকর্তা বলেছেন, ভবনটির বাসিন্দারা যেসব অস্থায়ী খুপরী তৈরি করেছিলেন সেগুলো ও ভেতরে থাকা অনেক ময়লা-আবর্জনার কারণে তাদের উদ্ধার অভিযান ব্যহত হচ্ছে।