নেপালের পশ্চিমাঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট ভূমিধসে তিন শিশুসহ অন্তত ৯ জন নিহত হয়েছেন। শনিবার দেশটির সরকারি এক কর্মকর্তা পশ্চিমাঞ্চলের একাধিক এলাকায় ভূমিধসে প্রাণহানির ওই ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন।
দেশটির জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র দিজান ভট্টরাই বলেছেন, রাজধানী কাঠমাণ্ডু থেকে প্রায় আড়াইশ কিলোমিটার পশ্চিমের গুলমি জেলার মালিকা গ্রামে ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। এতে সেখানকার একটি বাড়ি ধ্বংস হয়েছে। এই ঘটনার সময় ওই বাড়িতে এক পরিবারের পাঁচ সদস্য ঘুমিয়ে ছিলেন।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে ভট্টরাই বলেছেন, ‘‘পাঁচজনেরই মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে দুই শিশুও রয়েছে।’’
গুলমির পার্শ্ববর্তী স্যায়াংজা জেলার এক এলাকাতেও ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। এতে একটি পরিবারের বাড়িঘর পুরোপুরি ধসে গেছে। এ সময় ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে এক নারী ও তার তিন বছর বয়সী মেয়ে নিহত হয়েছেন।
এছাড়া গুলমির সীমান্ত লাগোয়া বাগলুং জেলায় আরেক ভূমিধসের ঘটনায় দুজন মারা গেছেন।
চলতি জুন মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে নেপালে বর্ষা মৌসুম শুরু হয়েছে। তখন থেকে দেশটিতে ভূমিধস, বন্যা এবং বজ্রপাতে অন্তত ৩৫ জন নিহত হয়েছেন। নেপালে বর্ষা মৌসুমে সাধারণত সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকে।
তবে বর্ষা মৌসুমে বেশিরভাগ পার্বত্য এলাকায় ভূমিধস ও আকস্মিক বন্যা প্রায়ই দেখা যায়। আর প্রাকৃতিক এসব দুর্যোগে দেশটিতে প্রত্যেক বছর শত শত মানুষের প্রাণহানি ঘটে।
সূত্র: রয়টার্স।