নোয়াখালী সুবর্ণচরের জোবায়ের বাজার এলাকার ১০০ ভূমিহীন পরিবারের মাঝে একশ ত্রিশ একর কৃষি খাস জমি বিতরণ করা হয়েছে। চর উন্নয়ন ও বসতি স্থাপন প্রকল্প-বি এর উদ্যোগে ভূমিহীন পরিবারের হাতে বন্দোবস্ত ও খতিয়ানের কাগজ তুলে দেওয়া হয়।
ভূমিহীন পরিবারের মাঝে খাস জমির খতিয়ান বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালী জেলা প্রশাসক ও চর উন্নয়ন ও বসতি স্থাপন প্রকল্প-বি (ঈউঝচ-ই) এর প্রকল্প পরিচালক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান। এসময় উন্নয়ন সহযোগী ইন্টারন্যাশনাল ফান্ড ফর এগ্রিকালচারাল ডেভেলপমেন্ট ও প্রকল্প এলাকা সফররত রাজকীয় নেদারল্যান্ডস দূতাবাস এর সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বর্ণাঢ্য পরিবেশে আয়োজিত এ খতিয়ান বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সুবর্ণচর উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব চৈতি সর্ববিদ্যা।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সুবর্ণচর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) অশোক বিক্রম চাকমা। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন চর উন্নয়ন ও বসতি স্থাপন প্রকল্পের ভূমি বন্দোবস্ত উপদেষ্টা মোঃ রেজাউল করিম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালী অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মিল্টন রায়।
আরও উপস্থিত ছিলেন চর উন্নয়ন ও বসতি স্থাপন প্রকল্পের প্রজেক্ট সমন্বয়কারী পরিচালক জনাব সাঈদ আহমদ, ইফাদ ইমপ্লিমেন্টেশন সাপোর্ট মিশনের টিম লিডার মিজ মারিয়াল জিমারম্যান, নেদারল্যান্ড দূতাবাসের প্রথম সচিব হ্যারি মরেল ও সিনিয়র পলিসি এডভাইজার মিজ মুশফিকা সাতিয়ার, উইমেন ল্যান্ড রাইটস ইনিশিয়েটিভ এর মিজ এলিজাবেথ গার্নার
খতিয়ান বিতরণ অনুষ্ঠানে খতিয়ান গ্রহণ করার জন্য পরিবারগুলোর স্বামী এবং স্ত্রী উভয়েই উপস্থিত ছিলেন। বন্টনকৃত খতিয়ানে স্বামী-স্ত্রীর মালিকানার হার সমান সমান হওয়া ছাড়াও খতিয়ান গুলোতে স্ত্রীর নাম প্রথমে লেখা হওয়ায় তা নারীর ক্ষমতায়নে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করছে।
জেলা প্রশাসকদেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, ভূমিহীন পরিবারের মাঝে খাস জমির খতিয়ান বিতরণ এই সরকারের একটি অন্যতম প্রধান অগ্রাধিকার কর্মসূচি। বাংলাদেশের কোন মানুষ ভূমিহীন থাকবেনা, বাংলাদেশের কোন মানুষ গৃহহীন থাকবে না।
তিনি ভূমিহীনদেরকে বন্দোবস্ত প্রাপ্ত পতিত-খাস জমি যথাযথভাবে ব্যবহার ও চাষাবাদ করে সর্বোচ্চ ফসল উৎপাদনের মাধ্যমে নিজ পরিবার ও দেশকে স্বনির্ভর করার আহ্বান জানান।