ডেস্ক রিপোর্ট:
জাতীয় সংসদের ২৯৮ নম্বর আসন খাগড়াছড়ি জেলা। ৯টি উপজেলা ৩টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত বৃহৎ এ জেলায় ভোটার রয়েছে ৫ লাখ ১৫ হাজার ৪১৯ জন।
জেলার ১৯৬টি ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। দুর্গম এলাকাসহ ৮০টি কেন্দ্র অতি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে জেলা নির্বাচন অফিস। এছাড়াও সাধারণ ঝুঁকিপূর্ণ ৭৭ এবং সাধারণ কেন্দ্র হিসেবে ৩৯টি কেন্দ্র নির্ধারণ করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
ভোটগ্রহণের জন্য ইতোমধ্যে ১৯৬ জন প্রিসাইডিং অফিসার, ৮২৯ জন সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার এবং ১৬৫৮ জন পোলিং অফিসার ভোটের সরঞ্জাম নিয়ে ভোটকেন্দ্রে অবস্থান করছেন। কাছাকাছি কয়েকটি কেন্দ্রের ব্যালট পেপার ভোটের দিন রোববার (৭ জানুয়ারি) সকালে কেন্দ্রে পাঠানো হবে।
৯ উপজেলায় সংক্ষিপ্ত বিচারিক আদালত পরিচালনা করতে তিনজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তারা সর্বোচ্চ ৭ বছরের কারাদণ্ড দিতে পারবেন। ৫ থেকে ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে সংক্ষিপ্ত এ বিচারিক আদালত। এছাড়াও জেলায় ১৬ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভোটের মাঠে দায়িত্ব পালন করবেন।
খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মুক্তা ধর জানান, কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ, আনসার মোতায়েন করা হয়েছে। ভোটারদের নিরাপত্তা বিধানে ইতোমধ্যে সেনাবাহিনীর টহল চলছে, এছাড়াও জেলায় ৩৪ প্লাটুন বিজিবি নিরাপত্তায় কাজ করছে।
খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. সহিদুজ্জামান জানান, জেলার তিনটি দুর্গম ভোটকেন্দ্রে হেলিকপ্টার যোগে ভোটের সকল সরঞ্জাম এবং জনবল পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। শনিবার দুপুরে ৯৮টি কেন্দ্রে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবং ভোটগ্রহণের সকল সরঞ্জাম পাঠানো হয়েছে। এছাড়া কাছাকাছি বাকি কেন্দ্রগুলোতে সকল সরঞ্জাম পাঠানো হলেও রোববার সকালে পাঠানো হবে ব্যালট পেপার।
প্রসঙ্গত, খাগড়াছড়ি আসনটিতে আঞ্চলিক সশস্ত্র সংগঠনের অবস্থান রয়েছে। ইউপিডিএফ (প্রসিত গ্রুপ) নির্বাচন বর্জন করায় কিছুটা নিরাপত্তা ঝুঁকির শংকা রয়েছে।