গাজায় হামাসের হাতে বন্দি এক জিম্মি সেনাকে উদ্ধারে গতকাল শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) ভোরে ব্যর্থ অভিযান চালিয়েছিল ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর স্পেশাল ফোর্সের সদস্যরা।
ওই ব্যর্থ অভিযানে জিম্মি সেনা সাহার বারুচ নিহত হন। তার মরদেহ দেখিয়ে কিছুক্ষণ পরই একটি ভিডিও প্রকাশ করে হামাস। এতে দেখানো হয়, সাহার বারুচ বলছেন, তিনি ৪০ দিন ধরে গাজায় জিম্মি অবস্থায় আছেন। ভিডিওটির শেষে দেখানো হয়, বারুচের রক্তাক্ত ও বিকৃত মরদেহ পড়ে আছে। আশপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে রক্ত।
গতকাল এ সেনার মৃত্যুর বিষয়টি চেপে রাখার চেষ্টা করেছিল ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। তবে আজ শনিবার (৯ ডিসেম্বর) ওই সেনার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে তার পরিবার। তারা এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘যে কোনো জিম্মি চুক্তির আওতায় আমরা তার মরদেহ ফেরত আনার দাবি জানাব। যতক্ষণ সবাই বাড়ি না ফিরছে আমরা থামব না।’
গতকাল ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) এক মুখপাত্র জানান, তাদের সেনারা এক জিম্মিকে উদ্ধারে গিয়েছিল। কিন্তু তারা জিম্মিকে উদ্ধার করতে পারেনি। উল্টো উদ্ধার অভিযানে অংশ নেওয়া দুই সেনা গুরুতর আহত হয়েছেন।
তবে আইডিএফের মুখপাত্র স্পষ্ট করে জানাননি সাহার বারুচকে উদ্ধারে এই অভিযান চালানো হয়েছিল কি না।
সাহার বারুচকে গত ৭ অক্টোবর গাজায় ধরে নিয়ে যায় হামাসের যোদ্ধারা। এরপর থেকে সেখানেই ছিলেন তিনি। জিম্মি অবস্থায় তার ভিডিও ধারণ করেছিল হামাস। তার মৃত্যুর পর সেই ভিডিওটি প্রকাশ করেছে তারা। এরমাধ্যমে হামাস ইঙ্গিত দিয়েছে, যদি কোনো জিম্মিকে ইসরায়েলি সেনারা উদ্ধারের চেষ্টা চালায় তাহলে সাহার বারুচের মতো ভাগ্য বরণ করতে হবে।