ফিলিস্তিনিদের ওপর সহিংসতার জন্য দায়ী ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের ব্রিটেনে প্রবেশ নিষিদ্ধ করার ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। ইউরোপীয় ইউনিয়নও (ইইউ) একই ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পর বৃহস্পতিবার ক্যামেরন ব্রিটেনের এই পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন।
জাতিসংঘের প্রকাশিত এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, গত ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকার ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলে হামলা চালানোর পর ইসরায়েল-অধিকৃত পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের দৈনিক হামলার সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক) দেওয়া এক বার্তায় ক্যামেরন বলেছেন, ‘‘চরমপন্থী বসতি স্থাপনকারীরা ফিলিস্তিনি বেসামরিকদের লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে ও হত্যা করে ইসরায়েলি এবং ফিলিস্তিনিদের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করছে।’’
‘‘বসতি স্থাপনকারীদের সহিংসতা বন্ধ এবং অপরাধীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে ইসরায়েলকে। আমরা বসতি স্থাপনকারীদের সহিংসতায় জড়িত ইসরায়েলিদের যুক্তরাজ্যে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছি। এটা নিশ্চিত করার জন্য আমাদের দেশ এই ভয়ানক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িতদের আবাসস্থল হতে পারে না।’’
এর আগে, সোমবার ব্রিটেনের পররাষ্ট্র দপ্তরের মন্ত্রী অ্যান্ড্রু মিচেল সংসদকে জানান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যামেরন গত সপ্তাহে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সাথে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন।
হামাস-ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর আন্তঃসীমান্ত হামলা এবং গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের যুদ্ধের দিকে যখন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় মনোনিবেশ করেছে, তখন পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের ক্রমবর্ধমান সহিংসতার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ইউরোপীয় কর্মকর্তারাও।
চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল বলেছিলেন, ইসরায়েল-অধিকৃত পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের ওপর সহিংসতার জন্য দায়ী ইহুদি বসতি স্থাপনকারীদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তাব করবেন তিনি। কী ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তাব করবেন সেই বিষয়ে বিস্তারিত জানাননি তিনি।
তবে ইইউ কর্মকর্তারা বলেছেন, ইহুদি বসতি স্থাপনকারীদের ইইউ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে।