Date: November 23, 2024

দৈনিক বজ্রশক্তি

Header
collapse
...
Home / আন্তর্জাতিক / ভাঙন পরিদর্শনে গিয়ে লাঠির তাড়া খেয়ে পালালেন মন্ত্রী

ভাঙন পরিদর্শনে গিয়ে লাঠির তাড়া খেয়ে পালালেন মন্ত্রী

July 01, 2024 12:16:32 PM   আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ভাঙন পরিদর্শনে গিয়ে লাঠির তাড়া খেয়ে পালালেন মন্ত্রী

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মালদহে ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে গ্রামবাসীর তোপের মুখে পড়েছেন এক মন্ত্রী। গ্রামের নারীদের লাঠি হাতে করা ধাওয়া খেয়ে পালিয়ে বাঁচেন তিনি। রোববার দুপুরে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর ২ ব্লকের ইসলামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রশিদপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে।


পশ্চিমবঙ্গের বাংলা দৈনিক আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে পড়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী তাজমুল হোসেন। ওই সময় ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী লাঠি হাতে তাকে তাড়া করেন। গ্রামের নারীদের লাঠি হাতে দেওয়া ধাওয়ায় পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে, নিজেকে বাঁচাতে নৌকায় উঠে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন ওই মন্ত্রী!

আনন্দবাজার বলেছে, রশিদপুর গ্রামের ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছেন মন্ত্রী তাজমুল হোসেন। তার সঙ্গে ছিলেন বিডিও তাপসকুমার পাল ও প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা। সেখানে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে তাজমুলকে ঘিরে বিক্ষোভ শুরু করেন গ্রামবাসী।

তাদের বক্তব্য, গত কয়েক দিনে ফুলহার নদীতে পানির স্তর অনেক বেড়েছে। যার ফলে রশিদপুরের নদীপারের এলাকা ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গ্রামের কয়েকটি বাড়ি, দোকান ভেসে গেছে নদীর পানিতে। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এছাড়া প্রশাসনের কর্মকর্তাদের কেউই গ্রামে আসেননি। দুর্গত লোকজনের জন্য ত্রাণেরও ব্যবস্থা করা হয়নি।

এই অভিযোগ তুলে মন্ত্রী তাজমুল ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন গ্রামবাসী। রীতিমতো হাতে লাঠি নিয়ে মন্ত্রী ও বিডিওকে তাড়া করতে দেখা যায় গ্রামের নারীদের। এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে রশিদপুরে।

পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। নৌকায় করে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হয় মন্ত্রী তাজমুলকে। তিনি বলেন, ‘‘রশিদপুর গ্রামের অবস্থা খুবই খারাপ। সেচ দপ্তর কিছু কাজ করেছে। কিন্তু আরও কাজ বাকি আছে। সেচ দফতরকে বলব যুদ্ধকালীন তৎপরতায় তা শেষ করতে। আমি নিজেও সেচমন্ত্রীকে যা বলার বলব।’’

গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে পড়েছেন বিডিও তাপসও। তিনি বলেন, ‘‘গ্রামবাসীদের ক্ষোভের কথা শুনলাম। কী করা যায়, তা উপর মহলের সঙ্গে কথা বলে করতে হবে।’’