ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার রাফাহতে বিমান হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরায়েলি সেনারা। ওই সময় কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার সাংবাদিক হানি মোহাম্মদ সরাসরি সংবাদ প্রদান করছিলেন। তার সেই লাইভে ধরা পড়েছে হামলার ঘটনা।
এতে দেখা যায়, একটি জায়গায় পরপর বিমান হামলা চালানো হচ্ছে। ওই সময় সেখানকার ভবন থেকে ধোয়ার কুণ্ডলি বের হচ্ছিল। হামলা থেকে বাঁচতে সাধারণ মানুষ এদিক-ওইদিক ছোটাছুটি করতে থাকেন।
পরবর্তীতে সাংবাদিক হানি মোহাম্মদ জানান, রাফাহর কুয়েতি হাসপাতালের কাছে হামলার ঘটনা ঘটে। ওই হামলায় একটি নয়— কয়েকটি ভবন পুরোপুরি ধসে যায়। ভবনগুলোতে ওই সময় মানুষ ছিলেন।
হামলার পর পর সেখানে অ্যাম্বুলেন্স ছুটে আসে। সেগুলো মানুষের ভিড় ঠেলে ঘটনাস্থলে যায়।
হানি মোহাম্মদ আরও জানান, তিনি আহত মানুষদের গাধা টানা গাড়িতে হাসপাতালে নিয়ে যেতে দেখেছেন।
তিনি বলেছেন, ‘যেখানে এ ধরনের বোমা হামলা হচ্ছে সেখানেই এ ধরনের (বিপর্যয়কর) চিত্র দেখা যাচ্ছে। গাজার উত্তরাঞ্চলের জাবালিয়া শরণার্থী ক্যাম্প এবং গাজা সিটির মানুষ সকাল থেকে যে ট্র্যাজেডির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে সেগুলো আমরা সামনে আনতে পারছি না। কিন্তু এটি বাস্তব চিত্রের উদাহরণ।’
হানি মোহাম্মদ জানিয়েছেন, হামলাস্থলের কাছাকাছি কুয়েতি হাসপাতাল অবস্থিত। কিন্তু এটি এতই ছোট, যেসব মানুষ হতাহত হয়েছেন তাদের চিকিৎসা দেওয়ার সক্ষমতা এই হাসপাতালটির নেই। এ কারণে আহতদের অন্য হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
হামলায় আবাসিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি একটি বড় মসজিদও পুরোপুরি ধসে গেছে। হামলার আগে ওই এলাকায় ইসরায়েলি ড্রোন উড়ছিল। এর কিছুক্ষণ পরই পরপর হামলাগুলো হয়। গত পাঁচ-ছয়দিন ধরে এমনটিই হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সাংবাদিক হানি মোহাম্মদ।