কোরীয় উপদ্বীপে মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক শক্তি প্রদর্শনকে ‘‘পরমাণু যুদ্ধের পূর্বরূপ’’ হিসেবে উল্লেখ করে এর নিন্দা জানিয়ে অজ্ঞাত ধাঁচের একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে উত্তর কোরিয়া। রোববার পিয়ংইয়ং এই ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে বলে জানিয়েছে জাপানের কোস্ট গার্ড এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী।
দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফ অব স্টাফের কার্যালয় বলেছে, উত্তর কোরিয়ার পূর্ব উপকূল থেকে সমুদ্রের দিকে ক্ষেপণাস্ত্রটি নিক্ষেপ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে উৎক্ষেপণের প্রায় ২০ মিনিটের পর ক্ষেপণাস্ত্রটি সমুদ্রে পড়েছে বলে জাপানের কোস্ট গার্ড জানিয়েছে।
উত্তর কোরিয়া ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রটি জাপানের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের (ইইজেড) বাইরে পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এই বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে বিস্তারিত কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি।
পারমাণবিক অস্ত্রধারী উত্তর কোরিয়া চলতি মাসে সবচেয়ে দূরপাল্লার আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রসহ (আইসিবিএম) একটি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে সিউল এবং টোকিওর কর্মকর্তারা সতর্ক করে দেওয়ার পর রোববার পিয়ংইয়ং এই ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের এক প্রস্তাবে উত্তর কোরিয়ার সব ধরনের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যদিও পিয়ংইয়ং তাদের আত্মরক্ষার সার্বভৌম অধিকার হিসাবে এসব ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করছে বলে দাবি করে আসছে।
ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের আধা ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। এতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়ার ‘‘সামরিক দুর্বৃত্তদের’’ সমালোচনা করে মহড়া, শক্তি প্রদর্শন এবং পারমাণবিক যুদ্ধ পরিকল্পনা নিয়ে উত্তেজনা বাড়ানোর অভিযোগ করা হয়েছে।
উত্তর কোরিয়ার এক মন্ত্রণালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মুখপাত্র বলেছেন, রোববার দক্ষিণ কোরিয়ার বন্দর শহর বুসানে যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক অস্ত্রবাহী সাবমেরিন ইউএসএস মিসৌরি পৌঁছেছে। বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার নৌবাহিনীর পারমাণবিক যুদ্ধের প্রয়াসকে পুরোপুরি নস্যাৎ করে কোরীয় উপদ্বীপে শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে উত্তর কোরিয়ার সশস্ত্র বাহিনী।