স্টাফ রিপোর্টার:
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনের চেষ্টায় ‘গণহত্যার’ দুই অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
গত জুলাই-অগাস্টের গণ-অভ্যুত্থানে চলা হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে বৃহস্পতিবার সকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারকাজ শুরুর পর এই আদেশ আসে।
পুনর্গঠিত ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদার, ট্রাইব্যুনালের দুই সদস্য বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মহিতুল হক এনাম চৌধুরী এজলাসে উপস্থিত ছিলেন।
এদিন ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন দুটি অভিযোগে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করে। শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনাল তা মঞ্জুর করে।
গত ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে সেখানেই আছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তার সরকারের সেতুমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে।
আগামী ১৮ নভেম্বরের মধ্যে তাদের আদালতে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল।
ট্রাইব্যুনালের সূচনা বক্তব্যে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বিডিআর বিদ্রোহে ৭৪ জনকে হত্যা, শাপলা চত্বরে হেফাজতের সমাবেশে ‘হত্যা’, র্যাবের বিচার বহির্ভূত হত্যা, জুলাই-আগস্ট ‘গণহত্যা’সহ আওয়ামী লীগের শাসনামলে ‘মানবতাবিরোধী অপরাধের’ সারসংক্ষেপ তুলে ধরেন।
শেখ হাসিনাসহ পলাতক অন্যদের দেশে ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলের সহায়তা নেওয়ার কথাও তিনি বলেন।